শিক্ষা প্রশাসনে শুরু হচ্ছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার

গত ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়া। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত শিক্ষা প্রশাসনে ফের শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার।’
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, এখনও সরকারের বিরুদ্ধে নানা যড়যন্ত্র চলছে। বদলি করা হলেও কেউ কেউ কলেজে যোগদান না করেই ঢাকায় বসে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এবার তাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে। মূলত মুকিব মিয়ার লিফলেট বিতরণের পর টনক নড়েছে শিক্ষা প্রশাসনে।
সূত্র আরও বলছে, মুকিবের ঘটনার পর ছাত্রলীগের সাতজন পদধারী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে এনসিটিবি ও পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) থেকে সরানো হয়েছে। এর মধ্যে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীও আছেন। সরানোর কাজটি এখন নিয়মিত করবে মন্ত্রণালয়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে যারা শিক্ষা প্রশাসনে বহাল তবিয়তে আছেন, তাদের দ্রুত বদলি এবং যাদের রাজধানীর আশপাশে বদলি করা হয়েছে তাদের দূরে বদলি করা হবে।
কোটা আন্দোলনকারীদের এ যুগের রাজাকার বলায় গত ৩ আগস্ট সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চট্টগ্রামের বাসায় হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। সেই হামলার প্রতিবাদে ৪ আগস্ট শিক্ষাভবনে মিছিল করেন শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ জন কর্মকর্তা। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া মুকিব মিয়া। এ সময় তারা চলছে ‘লড়াই চলবে, শেখ হাসিনা লড়বে’; ‘নওফেলের বাসায় হামলা কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’; ‘মন্ত্রীর বাসায় হামলা কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’সহ নানা স্লোগান দেন।
সেই স্লোগানধারীদের অনেকেই শিক্ষা প্রশাসনে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। অনেককে রাজধানীর আশপাশের কলেজে বদলি করা হয়েছে। কাউকে-কাউকে নিজ জেলায় বদলি করায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষা প্রশাসনে।
শিক্ষা প্রশাসনে শুরু হচ্ছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার

ওইদিন নওফেলকে দেখানোর জন্য বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রলীগের ‘শপথবদ্ধ’ রাজনীতি করা শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তা। স্লোগানের সামনে না থাকলেও এর নেপথ্যে ছিল মাউশির তৎকালীন মহাপরিচলক নেহাল আহমেদ। অর্থায়ন করেন মাধ্যমিক শাখার সাবেক পরিচালক সৈয়দ জাফর আলী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের বর্তমান পরিচালক এ কিউ এম শফিউল আজম, ওই সময়ের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস।
মিছিলে ছিলেন ডিআইএ শিক্ষা পরিদর্শক স্বরূপ কুমার কাহালি, শিক্ষা পরিদর্শক ড. আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মনকিউল হাসানাত, দেলোয়ার হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, শাহিনুর ইসলাম, রিপন মিয়া, সরকার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ দিদার (স্লোগান দাতা), সাদিয়া সুলতানা, আশরাফুর রহমান খান, কামরুন নাহার, ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, মো. তরিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার গবেষণা কর্মকর্তা রিয়াদ আরাফাত, সুমন বিশ্বাস, প্রশিক্ষণ শাখার গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত সরকারের সময় যারা চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছে, তাদের অনেককেই প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সময়-সময় বদলি করা হচ্ছে।
যারা এখনও বহাল
মিছিলে অংশ নিয়ে এখনো মাউশিতে বহাল তবিয়তে আছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার গবেষণা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ রহমান ও মোহাম্মদ আবুল হোসেন কায়েস, ডিআই শিক্ষা পরিদর্শক কামরুন নাহার। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে কামরুন নাহারের ছিল বিশেষ সখ্যতা। ওই দিন মিছিলে তিনি সামনের দিকে ছিলেন
জানতে চাইলে ডিআইএ পরিদর্শক কামরুন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মিছিলে আমি কীভাবে যায় সেটা অনেক লম্বা গল্প। সেখানে কোনো স্লোগান দিইনি। শুধু দাড়িঁয়ে ছিলাম। ছাত্ররাজনীতি করেছি, এটা কেউ দেখাতে পারবে না।
সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সাদিয়া সুলতানাকে গত সপ্তাহে বদলি করা হয়েছে। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসমা আক্তারকে গত সপ্তাহে শরীয়তপুর নড়িয়া কলেজে বদলি করা হয়। তবে এখনও বহাল আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খানের স্ত্রী মনিরা মুর্শেদ। সোহানের পরিচয়ে তিনি ডিআইএতে পদায়ন নিলেও এখন তিনি অস্বীকার করছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আপনি যা জানেন তা ভুল।
একই দপ্তরে বহাল আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শেখ কামরুন্নাহারও।
মিছিলের স্লোগান দেওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সরকার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ দিদারকে ঢাকার কাছে শরীয়তপুর কলেজে বদলি করা হয়েছে। ঢাকার পাশে বদলি করা হয়েছে ডিআইএ পরিদর্শক দীপু মনি ও নওফেলের ক্যাশিয়ার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রলীগ
নেতা ওয়ায়েছ আলকারনী মুন্সী, ডিআইএ পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম, কে এম শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল রহমান, প্রলয় দাসকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মাউশির কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বাবু, রিয়াদ আরাফাত, হাফিজুর রহমান সিকদারকে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রশাসনে শুরু হচ্ছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের স্ত্রীর ক্যাশিয়ার ছিলেন লেইস প্রকল্পের সাবেক উপ-পরিচালক বিজয় ঘোষ। শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক পদে ছিলেন তিনি। নাহিদের সময় ৮ বছর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন), সর্বশেষ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ছিলেন। ৫ আগস্টের পর নিজেকে শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্যের শিকারের তালিকায় নাম লিখিয়ে রক্ষা পান। পরে তাকে মেহেরপুর সরকারি কলেজে বদলি করা হয়।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের আস্থাভাজন জাফর আলীকে ঢাকার সবচেয়ে কাছে মানিকগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। আর বিপুল চন্দ্র সরকারকে রাজবাড়ী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
এখনও বহাল তবিয়তে আছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সোহাগ। সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিনের হাত ধরে তার পোস্টিং হয়। এরপর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি, বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি ফেসবুকে নিয়মিত আপলোড করতেন তিনি। হত্যা মামলায় জেলে থাকা সাবেক এই সচিব ভোলার একটি আসন থেকে এমপি নির্বাচনের মনোনয়পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন এই সোহাগ। মাউশির উপ-পরিচালক (বিশেষ শিক্ষা) তারিকুল ইসলামও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এ পদের তেমন কোনো কাজ না থাকলেও তিনি তদবির বাণিজ্য ও গ্রুপিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. এ কিউ এম শফিউল আজম দীপু মনির ঘনিষ্ঠ। দীপু মনির সঙ্গে সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন তিনি। দীপু মনির মন্ত্রণালয় পরিবর্তনের পর মিশে যান নওফেলের সঙ্গে। বদলি আতঙ্কে থাকা ওই কর্মকর্তা সম্প্রতি মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করেছেন।
শিক্ষা প্রশাসনে শুরু হচ্ছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার
অর্থ ও ক্রয় উইংয়ের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি গাজীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বদলি হয়েছেন। মাউশিতে ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে টেন্ডারের রেট আগে বলে দিয়ে সুবিধা নেওয়া, কেনাকাটায় সিন্ডিকেট, উপবৃত্তির টাকায় নয়ছয় এবং এমপিও ফেরতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না রেখে ব্যাংকে রেখে লভ্যাংশ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি ফাইল তদন্তাধীন। সেই তদন্ত আড়াল করতে নিজেই বদলি হয়েছেন গাজীপুরে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক দিন হয়ে গেছে তাই নিজেই আবেদন করে চলে এসেছি।
মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের সহকারী পরিচালক লাইলুন নাহার মাউশিতে আছেন ২০১২ সাল থেকে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একই দপ্তরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. ফখরুল ইসলাম আছেন বহাল তবিয়তে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সচিব পদে বহাল আছেন শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস। চালাক ও ধূর্ত এই কর্মকর্তা বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এনসিটিবিতে কর্মরত। যখন যে মন্ত্রী এসেছেন তার সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে তুলতেন তিনি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ভাগ্নের পরিচয়ে এ দপ্তরে আসা ফেরদৌস প্রেস মালিকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে দীপু মনিকে দিতেন— এমন অভিযোগও রয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন চেয়ারম্যান এসে তাকে সচিব পদে বসান। দুজন মিলে চলতি বছরের বই ছাপায় ভাগবাটোয়ারা করেন এমন অভিযোগও উঠেছে।
জানতে চাইলে ফিরোজ আল ফেরদৌস বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সাচিবিক দায়িত্ব ছাড়া এখন কিছু করি না।
এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) ড. রিয়াদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে। আরেক সদস্য রবিউল কবীর চৌধুরী। আওয়ামী লীগের পুরো সময় তিনি ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। আদর্শিকভাবে বাম ও আওয়ামী লীগ অনুরক্ত হলেও এখনো আছেন আগের জায়গায়।
আওয়ামী লীগের মতিয়া চৌধুরীর সুপারিশে এনসিটিবিতে আসা ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ রুমি জেসমিন পুরো ১৬ বছর ধরে এনসিটিবিতে কর্মরত। এখন তিনি সদস্য হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। এনসিটিবিতে আসা এই কর্মকর্তা বিতর্কিত কারিকুলামের প্রবক্তা মশিউজ্জামানের ঘনিষ্ঠ। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষা প্রশাসনে শুরু হচ্ছে ‘ডেভিল হান্ট ফর এডুকেশন ক্যাডার
উপ-সচিব (কমন) সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান লিখন; যাকে সবাই আওয়ামী লীগের ক্যাডার বলে চেনেন। এই কর্মকর্তা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি তার শ্বশুর গাইবান্ধা জেলা বিএনপির নেতার পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। সেই সূত্র ধরে এখন তিনি রয়েছেন আগের অবস্থানে।
মাধ্যমিক শাখা সম্পাদক টুটুল কুমার নাগ দীর্ঘ ১২ বছর ডিআইএতে কর্মরত ছিলেন। পরে নওফেল তাকে এনসিটিবিতে পদায়ন করেন।
৩৩ বিসিএসের কর্মকর্তা রুমা আক্তার বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার থেকে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। শেখ মুজিবকে নিয়ে গান গেয়ে আলোচিত এই কর্মকর্তা কিছুদিন আগে গবেষণা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) হিসেবে পদায়ন পান এনসিটিবিতে।
জানতে চাইলে রুমা আক্তার বলেন, আমাকে একটি প্যানেলের সদস্য করার জন্য অনুরোধ করেছিল, তাই নির্বাচন করেছি। এটি কোনো দলের প্যানেল কি না, তা আমি জানতাম না।
এ ছাড়া প্রাথমিক শাখার গবেষণা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বয়াতি, মফিজুর রহমান, হুমায়ূন কবির, নাজমুল হাসান চৌধুরী। এরা সবাই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে শিক্ষা ক্যাডারে পরিচিত।