Breaking News
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ
থেকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা এবং ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন,” বলেন আইনজীবী দোলন।

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ
থেকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা এবং ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন,” বলেন আইনজীবী দোলন।

 থেকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা এবং ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন,” বলেন আইনজীবী দোলন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা ও বেতন পাবেন বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।

পরে দোলন সাংবাদিকদের বলেন, “দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পেলেও প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পান না। তাদের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম (যারা প্রশিক্ষিত) ও ১২তম (প্রশিক্ষিত নন) গ্রেডে। নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান।

“তাদের আবেদন ছিল তিনটি- দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা, ১০ম গ্রেড এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশান গ্রেড প্রদান। তবে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ছিল, টাইম স্কেলের দাবিটা ছেড়ে দিলে তাদের আর কোনো আপত্তি নেই। কেননা ২০১৫ সালের পর থেকে টাইম স্কেলের প্রভিশনটা আর নাই। এটা আবার যখন থেকে চালু হবে তখন থেকে পাবে। সেই মোতাবেক আমরা সেটি বাদ দিয়ে আজ আবেদন করেছিলাম। এখন থেকে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা এবং ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন।”

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ

২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়।

ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।

পরে ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেয় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বেতন পাবেন দশম গ্রেডে, আপিল বিভাগ

হাই কোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।

ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেয়। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে রায় দিল।

Allnewsbangla

About MUBIN

Check Also

চাকরির পেছনে না ছুটে, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির দক্ষতা বাড়াতে হবে

চাকরির পেছনে না ছুটে, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির দক্ষতা বাড়াতে হবে

চাকরির পেছনে না ছুটে, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির দক্ষতা বাড়াতে হবে চাকরির পেছনে না ছুটে বরং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *