শহীদ মিনারে টানা ১১ দিন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

সাত দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। একই সঙ্গে গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা। আগামীকাল রোববারও জরুরি সেবা চালু রেখে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি শহীদ মিনারে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন ব্যানারে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। আজ শনিবার অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি চলমান থাকবে। জরুরি সেবা চালু রেখে সব লাইন ক্রু ও ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা স্টেশন ত্যাগ করে শহীদ মিনারে অবস্থান করবে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সঙ্গে সব তথ্যপ্রবাহ ও দাপ্তরিক যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা আরইবির ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত বছরের জানুয়ারি থেকে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
শহীদ মিনারে টানা ১১ দিন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি</b>
এখন সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। এর মধ্যে রয়েছে আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ; এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন; মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। রাস্তা অবরোধ না করে, জনদুর্ভোগ না করে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা চালু রেখে আন্দোলন করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি আমলে না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার মাধ্যমে সংকট জটিল করে তুলছে। বাধ্য হয়ে সেবা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে, তাতে সৃষ্ট অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য আরইবি ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের দায়ভার বহন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কয়েক হাজার কর্মী কর্মস্থল ছেড়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যোগ দিয়েছেন। যাঁরা এলাকায় আছেন, তাঁরাও আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এটি চলমান থাকলে জরুরি সেবাও হুমকিতে পড়তে পারে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সাত দফা দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা সংহতি জানিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়।