চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, ঘাতক স্বামী র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ এলাকায় এক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। মোহাম্মদ সুমন নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম পলিকে ১১ টুকরো করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এ ঘটনায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এম. আর. এম মোজাফ্ফর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ জুলাই (বুধবার) রাতে। রৌফাবাদ এলাকার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে স্ত্রী-স্বামী দুজনই বাস করতেন।
তাদের আট বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, যার নাম সিফাত। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সুমন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে তার লাশ ১১ টুকরো করে ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখে। হত্যার সময় শিশুপুত্রটি বাসাতেই ছিল, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর সুমনের আচরণ সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর সুমন কক্ষের গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে র্যাব একটি বিশেষ টিম গঠন করে, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
নিহত ফাতেমা বেগম পলির বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলায়। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সুমনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সুমনের পেশা গাড়িচালক এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছিলেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে দ্রুত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় মানুষজন নিরাপত্তা জোরদার এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পরিবার ও এলাকার মানুষের মধ্যে এখনো একটি বিষাদমিশ্রিত সুনসান ছড়িয়ে রয়েছে। শিশু সিফাতের ভবিষ্যত এবং মানসিক অবস্থার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।