সৎ মেয়েকে ধর্ষণ লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নারের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
জানা যায়, এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আদালত মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ূব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে
২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ূব আলী। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।